আমার বাঁশখালী ডেস্ক:
মানিকগঞ্জে সরকারী অনুমোদন ছাড়াই চলছে আয়িশা রহমান হাসপাতালের কার্যক্রম। হাসপাতাল পরিচালনার জন্য যেসব কাগজপত্র দরকার তার বেশির ভাগই নেই হাসপাতালটিতে । প্রতিষ্ঠার বহু বছর পেরিয়ে গেছে, হয়েছে ৫ বার মালিকানা বদল তবুও জোড়াতালি দিয়েই চলছে হাসপাতালটি।
সদর উপজেলার পশ্চিম দাশড়া এলাকার বøক এর নং ৩ হাউজ এর আবাসিক এলাকায় ডা:সাইফুল ইসলামের আবাসিক ভবনের নিচতলায় ভাড়া বাড়িতে চলছে এ চিকিৎসা সেবার কাজ। অথচ সরকারী নিয়ম অনুযায়ী কোনো হাসপাতাল চালাতে গেলে অবশ্যই হাসপাতালের লাইসেন্স, ওটি রেজিষ্ট্রার, টেষ্ট রেজিষ্টার, এক্স-রে ম্যান, ভর্তি রেজিষ্ট্রার, ট্রেড লাইসেন্স, আয়কর প্রত্যয়ন, টিন নাম্বার এবং মালিকের সাথে চুক্তিপত্র আবশ্যক। কিন্তু আয়শা রহমান হাসপাতাল শুধু মানিকগঞ্জ পৌরসভা কর্তৃক ট্রেড লাইসেন্স এর কপি এই প্রতিবেদককে দেখাতে সক্ষম হয়। ১ জন সদ্য নিয়োগ প্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ও ৩ জন নার্স এবং ১ জন ফার্মাসিষ্ট এ হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, হাসপাতালে ফার্মেসি পরিচালনা করা হলেও কোনো ড্রাগ লাইসেন্স নেই। হাসপাতালে ইমারজেন্সি বিভাগ নেই। নেই কোনো ডায়াগনস্টিক সেন্টার। তবে গোপনে চলছে ডায়াগনস্টিকের কাজ। হাসপাতালে কোথায় অপারেশন থিয়েটার, কোনটা পুরুষ ওয়ার্ড, কোনটা নারী ওয়ার্ড সেটা বাইরে লেখা নেই। কোন রুমের ভেতর কী হচ্ছে তা বাইরে থেকে বোঝা মুশকিল।
আয়িশা রহমান হাসপাতালের দশটি কেবিন রয়েছে। প্রত্যেকটি কেবিনে প্রতিদিন কি পরিমাণ ভাড়া দিতে হয় তাও জানে না রোগীরা। চিকিৎসা শেষে টাকার সর্বোমোট একটা বিল নেওয়া হয় তাদের কাছ থেকে। অনেকসময় রোগিরা হাসপালে আসেন সম্পূর্ণ দালাল চক্রের মাধ্যমে।
কথা হয় হাসপাতালে আসা ঘিওর উপজেলার আকবর আলীর(৪৫) এর সাথে। তিনি জানান তার এ্যপেন্ডিসাইড অপারেশন করতে সে এখানে এসেছে। সে নিজেও জানে না অপারেশনের খরচ কত আর বেড ভাড়া, ঔষধ ও আনুসাঙ্গিক সব খরচ মিলে তাকে কত টাকা গুনতে হবে। আকবর আলী কাছে এই হাসপালে আসার কারন জানতে চাইলে সে জানায় তার পরিচিত নিজ এলাকার এক জন ডাক্তারী কাজ করে সেই লোক তাকে এখানে ভর্তি ও অপরেশন করিয়েছে। কিন্তু টাকার ব্যপারে কিছুই সে জানে না ।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সদ্য নিয়োগ প্রাপ্ত আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার জানায় , আমি আজ ই এখানে যোগদান করেছি। আমার সাথে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের চুক্তি হয়েছে সে সপ্তাহে বুধ ও বৃহস্পতিবার দুই দিন হাসপালে বসবেন। সে আরও জানায় তার জানা মতে আর কোন নিয়মিত ডাক্তার হাসপালে নেই।
হাসপাতালটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল ইসলাম জানায়, আমাদের সকল কাগজ পত্র আছে কিন্তু এখন দেখাতে পারবো না। কবে আসলে দেখাতে পারবেন উত্তরে সে জানায় এসব কাগজ শুধু মাত্র প্রশাসনকে দেখাতে হয় কোন সংবাদিককে নয়। কিছুক্ষণ পর সে সকল কাগজ দেখাচ্ছি বলে মানিকগঞ্জ পৌরসভা থেকে তার নামে একটি ট্রেড লাইসেন্স, আর লেব্রটারীয়ান এর সনদ দেখাতে পেরেছে। কিন্তু বাদ বাকি কোনো কাগজ পত্র দেখাতে সে ব্যার্থ হয়।
হাসপালের সাথেই আছে একটি ফার্মেসী । সেটার কোন ড্রাগ লাইসেন্স আছে কিনা সে বিষয়ে জানতে চাইলে সে জানায় ড্রাগ লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা হয়েছে। তবে এখন আমার কাছে কোনো ড্রাগ লাইসেন্স নেই।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ খুরশিদ আলম জানান, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ খুরশিদ আলম জানান, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
No comments:
Post a Comment