বাঁশখালীতে এনজিওর ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে ৫ ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে এলাকা ছাড়া একটি পরিবার - আমার বাঁশখালী ডটকম AmarBanskhali.Com

ব্রেকিং নিউজ

শীর্ষ বিজ্ঞাপন

321

নিউজ এর উপরে বিজ্ঞাপন

Sunday, July 22, 2018

demo-image

বাঁশখালীতে এনজিওর ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে ৫ ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে এলাকা ছাড়া একটি পরিবার

Banskhali+ctg+pic-1+

আমার বাঁশখালী.কম, ডেক্স রিপোর্টার মোঃ রোবেল.
বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ঘোনা গ্রামের মোঃ ইদ্রিসের পুত্র  মোঃ ইউনূছ এর বিয়ে হয় ২০০২ সালে শীলকূপ ইউনিয়নের মনকিচচর গ্রামের হাছান সওদাগরের মেয়ে পারভিন আক্তারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।
বিয়ের ১ মাস পর পারভিন আক্তার দাদীর দান করা জমির উপর মনকিচচর গ্রামে একটি বাড়ি নির্মাণ করে।

দীর্ঘ দিন সুখে চলছিল তাদের পরিবারটি। ২০১৫ সালের দিকে বিদেশ যাওয়ার আখাংকা করিলে শাশুড় বাড়ী থেকে টাকা নিয়ে স্বপ্নের ডুবাই পাড়ি জমিয়ে ছিল মোঃ ইউনুছ। সেখানে প্রায় ৫০/৬০ হাজার টাকার বেতনের চাকরী করতো। তখন ইউনূছের ভাই মোঃ আলী লিবিইয়া প্রবাসী ছিল। মোঃ আলী ইউনুছকে ফোন করে লিবিয়ায় যাওয়ার জন্য বলতো। সেখানে তার বেতন ১/১,২০,০০০/- টাকা পাবে বলে আশ্বাস দিয়ে ছিল।

সে আশ্বাসের উপর ভিক্তি করে ২ বছর ৩ মাস পর ডুবাই থেকে চলে আসে ইউনূচ। মোঃ আলী জরুরী লিবিয়ার ভিসা কিনে চলে আসতে বললে ইউনুছের সাথে পরিচয় হয় বৈলছড়ীর ইব্রাহিম নামে এক  দালালের সাথে। সে লিবিয়ার ভিসা দিবে বলে মোঃ ইউনুছের কাছ থেকে দালাল ইব্রাহিম ভিসা বাবদ ক্যাশ ৪ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা গ্রহণ করে। লিবিয়ার এই ভিসা কিনার জন্য তার স্ত্রী পারভিন আক্তার এনজিও পদক্ষেপের অফিস, ব্রাক,একটি বাড়ি একটি খামার,আশা এনজিও থেকে প্রায় ৭ লাখ টাকার ঋন নিয়ে দেয়।

লিবিয়ার ভিসা নিয়ে যাওয়ার পথে শ্রীলংকা পৌছালে শ্রীলংকার পুলিশ থাকে আটক করে শ্রীলংকার থানা হাজতে প্রেরণ করে।
সেখান থেকে আসার পর পুনরায় ২০১৭ সালে ওমানে যাওয়ার চিন্তা করলে চাম্বলের মামুন নামের এক ভিসা ব্যাপারীর সাথে পরিচয় হলে তাকে ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা দেওয়ার পর ওমানে ভিসা নিয়ে গেলে ওমান বিমান বন্দরে পৌছালে সে দেশের বিমান কর্মকর্তারা ভিসাটি জাল হওয়ায় পুনরায় বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

এর পর থেকে দেশে আসলে বিভিন্ন এনজিওর কর্মীরা প্রতিদিন তার বাড়িতে ঋনের টাকার জন্য হুমকী দমকী দিলে তার মেয়ে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী নাহিদা আক্তার, চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী মিফতাহুল জন্নাত , তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী জন্নাতুল ফেরদৌস,দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র রকিবুল ইসলাম ও আয়শা ছিদ্দিকাকে নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে এই পরিবারটি।
পারভিন আক্তারের স্বামী ইউনুছ স্ত্রীর উপর সব ঋনের বোঝা ছাপিয়ে দিয়ে পালিয়ে বেড়ালেও এনজিও কর্মীদের জ্বালা সইতে না পেরে পারভিন আক্তার বাদী হয়ে গত ৫ জুলাই মোঃ ইউনুছ সহ তার আত্বীয় স্বজন ৭ জনকে অভিযুক্ত করে বাঁশখালী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। 

জানা যায় সে পালিয়ে তার পিতার বাড়ি পশ্চিম বড়ঘোনায় সিকদার বাড়ী এলাকায় রমজানের সময় তার পিতার বাড়িতে লুকিয়ে থাকতো পরে এনজিওর কর্মী ও তার স্ত্রী জানতে পারলে সে গোপনে চট্টগ্রাম শহরে আত্ব গোপন করে আছে এখন পারভিন আক্তার ৫ সন্তান নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাঠাচ্ছে। 

No comments:

Post a Comment

পোস্টের নীচে বিজ্ঞাপন

Pages

Contact Form

Name

Email *

Message *