রাত জেগে পাহারায় শত শত গ্রামবাসী, বাঁশখালীতে বন্য হাতির তান্ডবে অর্ধশতাধিক বাড়ীঘর তছনছ - আমার বাঁশখালী ডটকম AmarBanskhali.Com

ব্রেকিং নিউজ

শীর্ষ বিজ্ঞাপন

নিউজ এর উপরে বিজ্ঞাপন

Monday, July 30, 2018

রাত জেগে পাহারায় শত শত গ্রামবাসী, বাঁশখালীতে বন্য হাতির তান্ডবে অর্ধশতাধিক বাড়ীঘর তছনছ


আমার বাঁশখালী.কম নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাঁশখালীর সাধনপুর ইউনিয়ন ও পূর্ব বৈলগাও  এলাকার দমদমা দিঘীর পশ্চিম পার্শ্বে গত এক সপ্তাহ ধরে প্রতি রাতে ২টি  হাতি বাড়িঘর ও আশেপাশের এলাকায় তান্ডব চালিয়েছে। হাতির হামলার শিকার পরিবারের লোকজন নিজেদের জীবন বাচাঁতে দিকবিদিক ছুটলে ও হাতির দল একে একে বিভিন্ন এলাকায় প্রায় অর্ধশতাধিক বাড়িঘর তছনছ করে । তারা হলো মুন্সী মিয়ার পুত্র মোঃ আমিন,সিরাজ মিয়ার পুত্র নেজামুর রহমান,দানু মিয়ার পুত্র মোহাম্মদ হোসেন,মুন্সিমিয়ার স্ত্রী সুফিয়া খাতুন,নাগু মিয়ার পুত্র রফিক আহমদ,মুন্সী মিয়ার পুত্র জাকের আহমদ,আব্দুল খালেকের পুত্র আনোয়ার ইসলাম,মুন্সী মিয়ার পুত্র আমির হোসেন সহ ৮ পরিবারের ঘর বাড়ি তছনছ করে। বাড়ি গুলো কাচাঁ আধা পাকা ও ভেড়া দেওয়া ছিল । হাতির হামলার শিকার হওয়ার পর এ এলাকার লোকজন নির্ঘুম রাত কাটাতে বাধ্য হয় ।অপর দিকে এ ব্যাপারে কালীপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা মো: রইস উদ্দিন কিছুই অবগত নয় বলে জানান ।
জানা যায়, বাঁশখালী- সাতকানিয়া পাহাড় থেকে প্রতিনিয়ত কয়েকটি বন্য হাতি রাতের আধারে  গ্রামেগঞ্জে ডুকে পড়ে। প্রতিদিন সন্ধ্যা নামলেই হাতিগুলো উপজেলার সাধনপুর ইউনিয়নের পূর্ব সাধনপুর মৌলভী ঘোনা,পূর্ব বৈলগাও,বানীগ্রাম ও পুকুরিয়ার অধিকাংশ এলাকার বিভিন্ন গ্রামে খাবারের খোঁজে ঢুকে পরে। হাতিগুলো বসতঘর, ফসলি জমি, ক্ষেত-খামার,বাড়ি-ঘর সহ বিভিন্ন স্থাপনা প্রতিদিন ক্ষয়ক্ষতি করছে। বাঁশখালী সাধনপুর এলাকার নুরুল ইসলাম বলেন,আমরা প্রতিদিন হাতির আক্রমণের ভয়ে ঘুমাতে পারিনা। প্রতিরাতে পাহারা দিতে  হয়। হাতির আক্রমনে বর্তমানে আমরা সব সময় ভীত। স্থানীয় আব্দুর ছবুর জানান, গত রবিবার দিবাগত রাতে পুকুরিয়া দক্ষিণ পাড়া এলাকায় রাত ১০ টার সময় ৮নং ওয়ার্ডের জেবুল হোসেন, আব্দুর রশিদ, মোঃ হাছান, মামুনুর রশিদ, মৌলভী আইযুব, ছালেহা বেগম, ছৈয়দুল হক, পুকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানান, আমার এলাকায় ৭/৮টি গ্রামে প্রতি রাতে হাতি তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। মোঃ ফোরকান,আলমগীর,শাহ আলম ও লায়লা বেগমের বাড়িঘর তছনছ করে। 
সাধনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিউদ্দীন চৌধুরী খোকা বলেন, হাতির হামলার শিকারে পরিবারের ঘরবাড়ি,গাছ ও ফসলাদি গুলোসহ সব কিছু তছনছ করেছে। তিনি হাতির আক্রমণের শিকার ৮ পরিবারের  লোকজনকে পরিষদের পক্ষ থেকে ১ হাজার টাকা করে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে এবং তাদের আরো পর্যাপ্ত সহযোগিতা পেতে প্রশাসন ও বন-বিভাগের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে জানান।
আরোও পড়ুন: বাঁশখালীতে সপ্তাহজুড়ে হাতির তাণ্ডবে অর্ধশত ঘর ভাংচুর!

এ নিয়ে গতকাল সোমবার বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তারের কার্যালয়ে  ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বন-বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে একমত বিনিময় সভা অনুষ্টিত হয়। সভায় গ্রামবাসীদের নিয়ে হাতি আসলে আতশবাজি করে ঘরবাড়ি পাহারা দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এর আগে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলোকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।

No comments:

Post a Comment

পোস্টের নীচে বিজ্ঞাপন