জানা যায়, বাঁশখালী- সাতকানিয়া পাহাড় থেকে প্রতিনিয়ত কয়েকটি বন্য হাতি রাতের আধারে গ্রামেগঞ্জে ডুকে পড়ে। প্রতিদিন সন্ধ্যা নামলেই হাতিগুলো উপজেলার সাধনপুর ইউনিয়নের পূর্ব সাধনপুর মৌলভী ঘোনা,পূর্ব বৈলগাও,বানীগ্রাম ও পুকুরিয়ার অধিকাংশ এলাকার বিভিন্ন গ্রামে খাবারের খোঁজে ঢুকে পরে। হাতিগুলো বসতঘর, ফসলি জমি, ক্ষেত-খামার,বাড়ি-ঘর সহ বিভিন্ন স্থাপনা প্রতিদিন ক্ষয়ক্ষতি করছে। বাঁশখালী সাধনপুর এলাকার নুরুল ইসলাম বলেন,আমরা প্রতিদিন হাতির আক্রমণের ভয়ে ঘুমাতে পারিনা। প্রতিরাতে পাহারা দিতে হয়। হাতির আক্রমনে বর্তমানে আমরা সব সময় ভীত। স্থানীয় আব্দুর ছবুর জানান, গত রবিবার দিবাগত রাতে পুকুরিয়া দক্ষিণ পাড়া এলাকায় রাত ১০ টার সময় ৮নং ওয়ার্ডের জেবুল হোসেন, আব্দুর রশিদ, মোঃ হাছান, মামুনুর রশিদ, মৌলভী আইযুব, ছালেহা বেগম, ছৈয়দুল হক, পুকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানান, আমার এলাকায় ৭/৮টি গ্রামে প্রতি রাতে হাতি তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। মোঃ ফোরকান,আলমগীর,শাহ আলম ও লায়লা বেগমের বাড়িঘর তছনছ করে।
সাধনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিউদ্দীন চৌধুরী খোকা বলেন, হাতির হামলার শিকারে পরিবারের ঘরবাড়ি,গাছ ও ফসলাদি গুলোসহ সব কিছু তছনছ করেছে। তিনি হাতির আক্রমণের শিকার ৮ পরিবারের লোকজনকে পরিষদের পক্ষ থেকে ১ হাজার টাকা করে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে এবং তাদের আরো পর্যাপ্ত সহযোগিতা পেতে প্রশাসন ও বন-বিভাগের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে জানান।
আরোও পড়ুন: বাঁশখালীতে সপ্তাহজুড়ে হাতির তাণ্ডবে অর্ধশত ঘর ভাংচুর!
আরোও পড়ুন: বাঁশখালীতে সপ্তাহজুড়ে হাতির তাণ্ডবে অর্ধশত ঘর ভাংচুর!
এ নিয়ে গতকাল সোমবার বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তারের কার্যালয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বন-বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে একমত বিনিময় সভা অনুষ্টিত হয়। সভায় গ্রামবাসীদের নিয়ে হাতি আসলে আতশবাজি করে ঘরবাড়ি পাহারা দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এর আগে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলোকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
No comments:
Post a Comment