জেলা পরিষদ কর্তৃক বাঁশখালীতে ৩৯ প্রকল্প বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে - আমার বাঁশখালী ডটকম AmarBanskhali.Com

ব্রেকিং নিউজ

শীর্ষ বিজ্ঞাপন

321

নিউজ এর উপরে বিজ্ঞাপন

Monday, August 6, 2018

demo-image

জেলা পরিষদ কর্তৃক বাঁশখালীতে ৩৯ প্রকল্প বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে


images-1-6

আমার বাঁশখালী ডেস্ক:
চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের অধীনে থাকা ১৫টি ওয়ার্ডে ৫৭৯টি ছোটবড় উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।
২০১৭-১৮ অর্থবছরে দ্বিতীয় পর্যায়ে বাস্তবায়ন হতে যাওয়া এসব প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১২ কোটি টাকা।
সংসদ সদস্য, জেলা পরিষদের ওয়ার্ড সদস্য, সংরক্ষিত সদস্য, ইউপি চেয়ারম্যান, গণামান্য ব্যক্তিদের সুপারিশ ও আবেদনের ভিত্তিতে প্রকল্পগুলো হাতে নেয়া হয়েছে।
এরমধ্যে রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, শহীদ মিনার নির্মাণ, নলকূপ স্থাপন, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন প্রকল্পকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ সালাম পূর্বদেশকে বলেন, নির্বাচিত হওয়ার আগে ও পরে বিভিন্ন উপজেলার উন্নয়নে বহু ছোটবড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি।
এ অর্থবছরেও দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫৭৯টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পগুলো আকারে ছোট হলেও সুফল অনেক বেশি।

গ্রামে এমন কিছু রাস্তাঘাট আছে যেখানে অল্প বরাদ্দের অভাবে মানুষকে ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আমরা সে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে অধিক গুরুত্ব দিই। এছাড়াও পানীয় জলের সংকট, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নেও কিছু প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। নতুন প্রজন্মের কাছে ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতা যুদ্ধের তাৎপর্য তুলে ধরতে শহীদ মিনার ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হচ্ছে।


জেলা পরিষদ সূত্র জানায়, মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন হয়ে আসা ৫৭৯টি ছোটবড় প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১১ কোটি ৯৪ লক্ষ ৫ হাজার টাকা। এরমধ্যে মিরসরাই ওয়ার্ডে ৫৭টি প্রকল্প, সীতাকুন্ড ওয়ার্ডে ২৪টি, স›দ্বীপ ওয়ার্ডে ২৮টি, নগর ও হাটহাজারী ওয়ার্ডে ৪৮টি, হাটহাজারী ও ফটিকছড়ি ওয়ার্ডে ২৬টি, ফটিকছড়ি ওয়ার্ডে ৪১টি, রাউজান ওয়ার্ডে ৬১টি, রাঙ্গুনিয়া ওয়ার্ডে ৩০টি, বোয়ালখালী ও পটিয়া ওয়ার্ডে ৪৬টি, পটিয়া ও কর্ণফুলী ওয়ার্ডে ৩১টি, চন্দনাইশ ও পটিয়া ওয়ার্ডে ৩৯টি, আনোয়ারা ও বাঁশখালী ওয়ার্ডে ৪০টি, বাঁশখালী ওয়ার্ডে ৩৯টি, সাতকানিয়া ওয়ার্ডে ৫২টি, এবং লোহাগাড়া ওয়ার্ডে ৩৫টি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এরআগে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে প্রথম পর্যায়ে দশ কোটি আট লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৫২৫টণপ্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়।সূত্র জানায়, জেলা পরিষদের বাধ্যতামূলক কার্যাবলীর আওতায় মোট বরাদ্দের ৪০ শতাংশ রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ ও মেরামত, ডাকবাংলো, জেলা পরিষদের আয়বর্ধক প্রকল্প, অফিস ভবন, সাধারণ পাঠাগার ও মেরামত সংস্কার, ঐচ্ছিক কার্যাবলীর ১০ শতাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন, ১০ শতাংশ ক্রীড়া, শিক্ষা সংস্কৃতি ও স্কাউটিং উন্নয়ন, পাঁচ শতাংশ পানি নিষ্কাশন, পানি সরবরাহ ব্যবস্থা, ভূ-উপরিস্থ সুপেয় পানির জলাশয় (গভীর নলকূপ) বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ও জনকল্যাণমূলক অত্যাবশ্যকীয় কাজের নির্মাণ ও ব্যবস্থাপনা, পাঁচ শতাংশ মন্দির, মসজিদ, গীর্জা ও বিহার উন্নয়নে বরাদ্দ দেয়া হয়।
চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সচিব মো. শাব্বির ইকবাল পূর্বদেশকে বলেন, জেলা পরিষদের ছোট প্রকল্পগুলো গ্রামের উন্নয়নে অত্যন্ত সহায়ক। সরকারের বিভিন্ন দপ্তর থেকে বড়বড় প্রকল্প হাতে নিয়ে রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করা হয়। কিন্তু দেখা যায়, এমন একটি সড়ক রয়ে গেছে যে সড়কের উন্নয়নে বরাদ্দ পাওয়া দুষ্কর। আমরা সে কাজগুলোই করে গ্রাম উন্নয়নে ভূমিকা রাখি। এবছর দ্বিতীয় পর্যায়ে ছোটবড় প্রায় ৫৭৯টি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় চিত্র পাল্টে যাবে। সূত্র: দৈনিক পূর্বদেশ।’

No comments:

Post a Comment

পোস্টের নীচে বিজ্ঞাপন

Pages

Contact Form

Name

Email *

Message *