![]() |
আমার বাঁশখালী.কম.ডেক্স রিপোর্টার মোঃ রোবেল.
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুককে সমস্যা মনে করছে মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এ বিষয়ে একমত। সোমবার (৬ আগস্ট) সচিবালয়ের
মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ নিয়ে মন্তব্য করেন তিনি।
নিরাপদ
সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় ফেসবুক সমস্যা করেছে বলে
প্রধানমন্ত্রীর কাছে মন্তব্য করেন মন্ত্রীরা। এরপর শেখ হাসিনা বলেছেন,
‘আসলেই ফেসবুক একটা সমস্যাই।’
বৈঠকে মন্ত্রীরা উল্লেখ করেন,
শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে দেশ স্থবির করে দিয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাদের
উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘এত দুর্বল চিত্তের লোক দিয়ে কী চলে?
আন্দোলন বলতে যা বোঝায় তা তো ওরা করতেই পারেনি। আন্দোলন মানে রোদে পুড়বে,
বৃষ্টিতে ভিজবে। এমন তো কিছু ঘটে নাই।’
সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮-তে
সর্বোচ্চ ৫ বছরের সাজার সুপারিশ করেছে আইন মন্ত্রণালয়। তবে নতুন আইনে
মোবাইল কোর্ট পরিচালনার কথা বলা নেই। নতুন আইনে এটি থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
সভায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘এডিবির সঙ্গে আমরা একটি চুক্তি করেছি। তারা দক্ষ এক লাখ গাড়িচালক তৈরিতে সহায়তা দেবে।’
এদিকে রাষ্ট্র
বাঁচাতে প্রয়োজনে ফেসবুক বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন ডাক,
টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। একইসঙ্গে পরিস্থিতি
বুঝে ইন্টারনেটও বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। সোমবার (৬ আগস্ট)
রাজধানীর র্যাডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে
তার উত্তর ছিল এমন। সেখানে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের টেলিযোগাযোগ
নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেন তিনি।
সরকারের কাছে সবার
আগে রাষ্ট্র ও জনগণের নিরাপত্তার বিষয়টি উল্লেখ করে তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী
বলেন, ‘রাষ্ট্র কিংবা নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার মতো কোনও পরিস্থিতি তৈরি হলে
প্রযুক্তির দিকে তাকিয়ে থাকলে চলবে না। বৃহত্তর স্বার্থের জন্য ক্ষুদ্রতম
স্বার্থ ত্যাগের মানসিকতা রাখতে হবে।’
ভবিষ্যতে
অন্য কোনও ইস্যু বা জাতীয় নির্বাচনে ইন্টারনেটের গতি কমানো হবে?
সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা
গ্রহণ করা হবে।’
নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের মধ্যে শনিবার (৪
আগস্ট) ফেসবুকে গুজব ছড়ানো হয়। যা জনমনে বিরূপ প্রভাব ফেলে। এরপর ওইদিন
সন্ধ্যা থেকে ২৪ ঘণ্টা থ্রিজি ও ফোরজি ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে দিয়েছিল
সরকার।
No comments:
Post a Comment