পরিবহন শ্রমিকদের ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতি চলছে - আমার বাঁশখালী ডটকম AmarBanskhali.Com

ব্রেকিং নিউজ

শীর্ষ বিজ্ঞাপন

321

নিউজ এর উপরে বিজ্ঞাপন

Saturday, October 27, 2018

demo-image

পরিবহন শ্রমিকদের ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতি চলছে

Webp.net-compress-image-228

আমার বাঁশখালী.কম.ডেক্স রিপোর্টার মোঃ রোবেল.
সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮’ সংশোধনে আট দফা দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করছেন পরিবহন শ্রমিকরা।
২৮ অক্টোবর, রবিবার সকাল ৬টা থেকে রাজধানীসহ সারা দেশে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে। চলবে ৩০ অক্টোবর, মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত।
ধর্মঘট শুরুর প্রথম দিন রবিবার সকাল থেকে রাজধানীর রাস্তায় কোনো বাস চোখে পড়েনি। হঠাৎ বাস চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস হওয়ায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় স্কুল ও অফিসগামীদের গাড়ির অপেক্ষায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
অনেকেই বেশি ভাড়ায় রিকশা অথবা সিএনজি অটোরিকশায় গন্তব্যস্থলে রওনা দিয়েছেন। আর অনেকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর কিছুই না পেয়ে হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছেন।
রাজধানীর টার্মিনালগুলো থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। এমনকি বন্ধ রয়েছে শহর এলাকার বিভিন্ন রুটের বাস।
এর আগে ২৭ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি ওয়াজি উদ্দিন খান।
শ্রমিকদের ৮ দফা দাবি
  • সড়ক দুর্ঘটনায় সব মামলা জামিনযোগ্য করা
  • শ্রমিকদের অর্থদণ্ড ৫ লাখ টাকা প্রত্যাহার
  • সড়ক দুর্ঘটনার তদন্ত কমিটিতে শ্রমিক প্রতিনিধি রাখা
  • ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত করা
  • ওয়েস্কেলে জরিমানা কমানো ও শাস্তি বাতিল
  • সড়কে পুলিশি হয়রানি বন্ধ
  • গাড়ি রেজিস্ট্রেশনের সময় শ্রমিকের নিয়োগপত্রে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরের ব্যবস্থা রাখা
  • সব জেলায় শ্রমিকদের প্রশিক্ষণের পর লাইসেন্স ইস্যু ও লাইসেন্স ইস্যুর সময় হয়রানি বন্ধ করা।
রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানা এলাকায় গত ২৯ জুলাই ‘জাবালে নূর’ পরিবহনের একটি বাসের চাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়।
ওই ঘটনার পর থেকে ৯ দফা দাবিতে দেশের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেন। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে দুর্ঘটনায় প্রাণহানিতে চালকের সাজা দুই বছর বাড়িয়ে এই আইনটি প্রণয়নের উদ্যোগ নেয় সরকার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে গত ৬ আগস্ট অনুষ্ঠিত বৈঠকে ‘সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮’ খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি বা গুরুতর আহত হলে চালকের সর্বোচ্চ শাস্তি পাঁচ বছরের জেল বা অর্থ জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।  
এ ছাড়া তদন্তে যদি হত্যাকাণ্ড প্রমাণিত হলে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে ৩০২ দণ্ডবিধি অনুযায়ী শাস্তির বিধান করা হয়েছে। গত ১৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদ অধিবেশনে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন। পরে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।নেট সূত্র..

No comments:

Post a Comment

পোস্টের নীচে বিজ্ঞাপন

Pages

Contact Form

Name

Email *

Message *