আমার বাঁশখালী,নেট সংগ্রীহিত সংবাদ. জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়
ঘোষণার সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ততই উত্তেজনা বাড়ছে রাজধানীসহ সারা দেশের
মানুষের মাঝে। গত ২৫ জানুয়ারি আদালত রায়ের দিন ধার্য করার পর থেকেই দেশের
প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিয়ে
যাচ্ছে।
রায়ের দিন বৃহস্পতিবার (০৮
ফেব্রুয়ারি) রাজধানীতে বড় জমায়েতের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। অন্যদিকে
রায়কে ঘিরে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা হলে তা প্রতিহত করার ঘোষণা দিচ্ছে
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। দুই দলের পাল্টাপাল্টি অবস্থানে জনমনে বাড়ছে
আতঙ্ক। রায়কে ঘিরে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ভাঙচুর আতঙ্কে ভুগছেন রাজধানীর
গণপরিবহনের শ্রমিকরা। যদিও সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে
ইতোমধ্যে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। তবুও শঙ্কামুক্ত নন পরিবহন
শ্রমিকরা। পরিবহন শ্রমিকদের দাবি এর আগেও বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক সহিংসতা মোকাবেলায়
তৎপর ছিলো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। কিন্তু ভাঙচুর আর জ্বালাও-পোড়াও
হয়েছে। মিরপুর-১ থেকে আজিমপুর রুটের মেট্রলিংক পরিবহনের সুপারভাইজার ইকবাল
বাংলানিউজকে বলেন, কাল ঢাকায় যে কী হবে তা নিয়ে ভয়ে আছি। মারামারির সময় কে
যে কোন দিক থেকে আগুন দেয় টের পাওয়া যায় না। দুই পক্ষের কেউই দায় শিকার করে
না, কিন্তু কেউ না কেউ তো আগুন দেয়, ভাঙচুর করে। ক্ষতি হয় আমাদেরই।
আগামীকাল পরিস্থিতি বুঝে তারপর গাড়ি বের করবো। বিহঙ্গ পরিবহনের শ্রমিক নান্টু বললেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, কাল সরকারি
হরতাল থাকবে। ঢাকায় গাড়ি চালালে পুলিশই ঝামেলা করবে। ইতোমধ্যে অনেক
পরিবহনের নেতারা গাড়ি নিয়ে বের হতে নিষেধ করেছেন। এজন্য আগামীকাল রাস্তায়
গাড়ির খুব সংকট হবে বলে মনে করেন নান্টু। পরিবহন শ্রমিকদের মতো সাধারণ মানুষেরও ধারণা আগামীকাল রাজধানীতে অঘোষিত
হরতাল থাকবে। এজন্য বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) অনেকেই নিত্যকার বাজারসহ
প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করে রাখছেন। যাতে আগামীকাল ঘর থেকে বের হতে না হয়। রাজধানীর মিরপুর বাংলা কলেজের ছাত্র সায়েদ আহম্মেদ বাংলানিউজকে বলেন,
আগামীকাল নীলক্ষেতে একটা বই কিনতে আসার কথা ছিলো। কিন্তু কাল তো ঢাকায়
জরুরি অবস্থা চলবে। সাথে হরতাল, পুলিশের হয়রানিও থাকবে। তাই আজকেই এলাম
বইটা নিতে। সায়েদ আরো বলেন, আমাদের দেশে মারামারি হলে যারা জড়িত তাদের কিছু হয় না। মারামারির মাঝে পড়ে প্রাণ যায়
সাধারণ মানুষের। যেমন গিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবু বক্করের। আবার ঘটনার পরে ওই এলাকায় পুলিশ যাকে পায় তাকে আটক করে। এজন্য এমন দিন বাসা থেকে বের না হওয়াই ভালো।
মারামারি হলে যারা জড়িত তাদের কিছু
হয় না। মারামারির মাঝে পড়ে প্রাণ যায় সাধারণ মানুষের। যেমন গিয়েছ
প্রধান সম্পাদক শাহ্ মুহাম্মদ শফিউল্লাহ্ সম্পাদক ও প্রকাশক: এম. ছৈয়দুল আলম নির্বাহী সম্পাদক: মহিনু আক্তার প্রেস বিজ্ঞপ্তি ও প্রতিনিধিরা নিউজ পাঠান ই-মেইল: amarbanskhali@gmail.com ভিজিট করুন: www.amarbanskhali.com
ডেক্স রির্পোটার: মোঃ রোমান চৌধুরী ডেক্স রির্পোটার: মোহাম্মদ রুবেল নিজস্ব প্রতিবেদক: মাকছুদুর রহমান নোমান বিশেষ প্রতিবেদক: সাদিয়া শারমিন বিশেষ প্রতিবেদক: নুরুল আমান ক্রীড়া প্রতিবেদ: মোহাম্মদ এরশাদ চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: শিমুল দেব শেখেরখীল প্রতিনিধি: ইকবাল হোছাইন
No comments:
Post a Comment