চট্টগ্রামের আনোয়ারা-বাঁশখালী রুটে পিএবি সড়কের পরিবহন ভাড়া নৈরাজ্যের
প্রতিবাদে মাঠে নেমেছে সাধারণ মানুষ। শুক্রবার (২ মার্চ) সকাল থেকে
বাস-সিএনজি-অটোটেক্সি থামিয়ে বাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে যাচাই করে বর্ধিত ভাড়া
ফেরত দিয়েছে যাত্রীদের।
এদিকে দীর্ঘদিন বাঁশখালী
রুটে চলমান সকল যানবাহনের চালকদের বাড়া বৃদ্ধি নৈরাজ্যে অতিষ্ঠ হয়ে সড়কের
বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে তলাশি চালাচ্ছে সাধারণ মানুষ। দীর্ঘদিনের
পরিবহন নৈরাজ্যের বিষয় নিয়ে পত্রিকায় অনেক লেখালেখি হলেও কার্যকর পদক্ষেপ
গ্রহণ করেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম শহরের
বহদ্দার হাট থেকে বাঁশখালী প্রেমবাজার পর্যন্ত ৫৫টাকা ভাড়া হলেও নতুন ব্রীজ
থেকে ভাড়া আদায় করা হচ্ছে ৮০ টাকা। তাও গুণাগরী পর্যন্ত। এটা প্রাত্যহিক
চিত্র। নাড়ীর টানে ঘরমুখো মানুষ গুলো জিম্মি প্রায় এই ভাড়া নৈরাজ্যে।
প্রতি দিন রাত হলে স্পেশাল বাস সার্ভিস নাম দিয়ে চলে এই চিত্র। প্রতিবাদ
করলেই হেনস্তার শিকার হয় সাধারণ যাত্রী। এদিকে সাধনপুরে অজস্র তরুণ জড়ো
হয়ে প্রতিবাদ শুরু করলে অতিরিক্ত ভাড়া ফেরত দিতে বাধ্য হয় ড্রাইভার।
মালিক পক্ষের সাথে কথা বলে জানা যায় তারা কোন ভাবেই অতিরিক্ত ভাড়া নিতে
বলেনি। অতিরিক্ত ভাড়ার পুরোটায় ড্রাইভার হেলপার পকেটস্থ করে।
প্রতিবাদকারীরা প্রথমে ভাড়া অতিরিক্ত কেন নেয়া হচ্ছে তা জানতে চাইলে তারা
বলে ভাড়া ৮০ টাকা বলে নেয়া হচ্ছে। ৬০ টাকা দিতে চাইলে হেলপার তা নিতে
অস্বীকার করে। পরে সাধনপুর ইউনিয়নের সাহেবের হাট এলাকায় এসে স্থানীয়
তরুণদের চাপের মুখে সব যাত্রীদের অতিরিক্ত ভাড়া ফেরত দেয়া হয়।
প্রায়
দু'ঘন্টার প্রতিবাদে ১৫-২০ টি গাড়ি থামিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া ফেরত নেয়া হয়।
সাধারণ যাত্রীদের অনেকে জানান, এমন উদ্যোগ যেন আরো সংগঠিত হয়ে নিয়মিত নেয়া
হয়। প্রতিরোধে তাদের সাথে একাত্মতা ঘোষনা করেন সাধারণ মানুষেরা। সবার
প্রতিরোধে ১৫-২০টির মত গাড়ি থেকে যাত্রীদের কাছ থেকে নেয়া অতিরিক্ত ভাড়া
গুলো ফেরত দিতে বাধ্য করে প্রতিবাদকারীরা।
No comments:
Post a Comment