ফাইল ফটো |
আমার বাঁশখালী ডেক্স:
উত্তর
জনপদে এখনো শীতের দাপট কমেনি। সন্ধ্যার পরপরই বইতে থাকে ঠাণ্ডা বাতাস। এরই
মধ্যে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের পাশে ফুটপাতে ফুটফুটে কন্যাসন্তানের জন্ম
দিয়েছেন মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারী। ঘটনাটি ঘটে রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার
কুর্শা ইউনিয়নের বরাতী সেতু সংলগ্ন এলাকায় গত বুধবার গভীর রাতে। বিষয়টি
নজরে এলে স্থানীয় লোকজন মমতা আর যত্নে মা ও নবজাতককে ভর্তি করায় হাসপাতালে।
২৮-৩০ বছর বয়সী ওই নারী তাঁর নাম-ঠিকানা বলতে পারেননি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ফুটপাতে সন্তান জন্ম
দেওয়ার ঘটনাটি জানতে পেরে বরাতী সেতু সংলগ্ন এলাকার লোকজন ওই নারীর পাশে
এসে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। প্রাথমিকভাবে তারা দাইয়ের কাজ করে। খবর পেয়ে
স্থানীয় সংবাদকর্মী বিপ্লব হোসেন অপু তাৎক্ষণিকভাবে তারাগঞ্জ ফায়ার
সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ইনচার্জ মিজানুর রহমানকে জানান। তিনি
ঘটনাস্থল ছুটে যান। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তিনি মা ও নবজাতককে উদ্ধার
করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে মা ও নবজাতকের
স্বাস্থ্য পরীক্ষা, শীত নিবারণের জন্য পোশাক ও প্রয়োজনীয় খাবারের ব্যবস্থা
করা হয়। অনেকেই বলাবলি করে, কে ওই নারীর সর্বনাশ করেছে? কে ওই শিশুর বাবা?
তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের
কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহবুবা ইয়াসমিন বলেন, ‘শিশুটি সুস্থ থাকলেও মায়ের
শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে শিশুটিসহ তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।’ এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সেখানে মা ও
শিশুটি সুস্থ রয়েছে বলে জানান তিনি।
তারাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল
ডিফেন্সের ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, প্রথমে ভারসাম্যহীন ওই নারীর পরিচয়
জানার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু আশপাশের কেউ তাঁর পরিচয় দিতে পারেনি। মা ও
মেয়েকে উদ্ধার করে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার হাতির বাগান
মাঠে সম্প্রতি গভীর রাতে মেয়েশিশুর জন্ম দেন সালমা নামে মানসিক ভারসাম্যহীন
এক নারী। শিশুটির কান্না শুনে স্থানীয় যুবকরা মোবাইল ফোনের আলো জ্বেলে
মা-মেয়েকে সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়।
No comments:
Post a Comment