আমার বাঁশখালী.কম ডেক্স রিপোর্টার মোঃ রোবেল.
বাঁশখালী পৌরসভার ভাদালিয়ায় এক গৃহবধূকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় হাসিনা আক্তার (২০) নামে নিহতের পিতা জামালউদ্দিন বাদি হয়ে নিহতের স্বামী, শ্বশুরসহ ৪ জনকে আসামি করে যৌতুক আইনে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার খবর পেয়ে পরিবারের সকল আসামিরা পালিয়েছে। মামলাটি তদন্ত করছেন এস. আই লিটন চাকমা।
পুলিশ ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাঁশখালী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের মো. জামাল উদ্দিন প্রকাশ মানিক আহমদের কন্যা হামিদা আক্তারের সাথে একই ওয়ার্ডের পাশের গ্রামের মোহাম্মদ হাসানের পুত্র আলী আকবরের সাথে ৭ মাস পূর্বে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে স্বামী মারধর করতে থাকে। কিছুদিন আগেও হামিদা আক্তারকে মারধর করলে তিনি বাপের বাড়ি চলে যান। ৪ দিন পূর্বে আর মারধর করবে না বলে প্রতিশ্রæতি দিয়ে তাকে বাপের বাড়ি থেকে নিয়ে আসে। গত রবিবার রাতে আবারো মারধর করলে অসুস্থ হয়ে হামিদা বেগমের মৃত্যু হয়। পরে এ খবর মেয়ের পরিবারে জানার পর পুলিশকে অভিযোগ দায়ের করলে একদল পুলিশ গত সোমবার সকালে ভাদালিয়া গিয়ে হামিদা বেগমের লাশ উদ্ধার করে। তার শরীরের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
নিহতের পিতা জামাল উদ্দিন জানান, হামিদা আক্তারের স্বামী আলী আকবর একই এলাকার বাসিন্দা। সে নগরীতে ব্যবসা করে। যৌতুকের জন্য বিভিন্ন সময় হামিদাকে মারধর করত। এই নিয়ে সালিশও হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমার মেয়েকে পিটিয়ে মেরেছে।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ও.সি) সালাহ উদ্দিন হিরা বলেন, গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনায় নিহতের বাবা একটি মামলা দায়ের করেছেন। উক্ত মামলার আসামিরা সকলেই পলাতক।
No comments:
Post a Comment