বাসে কক্সবাজার গেলেন ইউএস-বাংলার যাত্রীরা, দুর্ঘটনা তদন্তে কমিটি - আমার বাঁশখালী ডটকম AmarBanskhali.Com

ব্রেকিং নিউজ

শীর্ষ বিজ্ঞাপন

321

নিউজ এর উপরে বিজ্ঞাপন

Wednesday, September 26, 2018

demo-image

বাসে কক্সবাজার গেলেন ইউএস-বাংলার যাত্রীরা, দুর্ঘটনা তদন্তে কমিটি


US-BANGLA-1

আমার বাঁশখালী.কম.ডেক্স রিপোর্টার মোঃ রোবেল.র
চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের রানওয়েতে ক্রাশ ল্যান্ডিং করা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের যাত্রীদেরকে অবশেষে বাসযোগে কক্সবাজার পাঠানো হয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগরীর দামপাড়া থেকে রিলাক্স পরিবহনের বাসযোগে তাদেরকে কক্সবাজার পাঠানো হয়। এর আগে দুপুর ১টা ২০ মিনিটে বড় ধরনের বিমান দুর্ঘটনা থেকে প্রাণে বেঁচে যান এসব যাত্রী।
এদিকে, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের দুর্ঘটনা তদন্তে এয়ারক্রাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন গ্রুপ অব বাংলাদেশের প্রধান ক্যাপ্টেন সালাহ্উদ্দিন এম রহমতুল্লাহর নেতৃত্বে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটিকে বলা হয়েছে, অল্প সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন জমা দিতে।
বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে দুর্ঘটনাকবলিত সেই বিমনটি ক্রেনের সাহায্যে সরিয়ে নেয়ার পর চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে পুনরায় বিমান উঠা-নামা শুরু হয়। 
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) কামরুল ইসলাম বলেছেন, সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিএস-১৪১ ফ্লাইটটি কক্সবাজার এয়ারপোর্টে পৌঁছানোর পূর্বমুহূর্তে টেকনিক্যাল কারণে পাইলট জরুরি অবতরণের প্রয়োজন অনুভব করেন। কিন্তু কক্সবাজার এয়ারপোর্টে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা না থাকায় চট্টগ্রামের হযরত শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন। পরে তিনি চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলার ফ্লাইটটি অবতরণ করান।
তিনি জানান, ঘটনার পর ফ্লাইটের যাত্রী, কেবিন ক্রু ও পাইলটসহ সবাই নিরাপদ এয়ারক্রাফট থেকে বের হয়ে আসেন। যাত্রী ও ক্রুসহ উড়োজাহাজের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
বিমানের একটি সূত্র জানায়, ইউএস-বাংলার সেই উড়োজাহাজের যাত্রীকে বাসযোগেই কক্সবাজার পাঠানো হয়েছে। বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রিল্যাক্স পরিবহনের একটি বাসে প্রথমে ২৬ জন যাত্রীকে কক্সবাজারে পাঠানো হয়েছে। পরে আরো বাসে করে অন্যসব যাত্রীকে কক্সবাজার পাঠানো হয় বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। এর আগে যাত্রীদের বিমানবন্দর থেকে দামপাড়ায় নিয়ে আসে ইউএস-বাংলার বাসে করেই।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের ম্যানেজার উইং কমান্ডার সরওয়ার জাহান জানিয়েছেন, ইউএস-বাংলার বিএস-১৪১ নম্বর বিমানটি ১৭১ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকা হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বেলা সাড়ে ১১টায় কক্সবাজার বিমান বন্দরের উদ্দেশ্যে উড্ডয়ন করে। বেলা সাড়ে ১২টায় কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছার কথা। কক্সবাজার বিমানবন্দরের কাছাকাছি পৌঁছালে বিমানে ত্রুটি ধরা পড়ে। কোনো অবস্থানেই বিমানের সামনের ল্যান্ডিং গিয়ার নামছিল না। এরপর পাইলট পুনরায় বিমানটি নিয়ে ঢাকা হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের দিকে রওনা করেন। সেখানে অবতরণ করার অনুমতি না পেয়ে আকাশে উড়তে থাকে বিমানটি। জ্বালানি শেষ পর্যায়ে চলে আসার একপর্যায়ে উপায় না দেখে পাইলট বিমানটি ঝুঁকি নিয়ে পুনরায় চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিয়ে আসেন। এ অবস্থায় বিমানের যাত্রীরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন। উৎকণ্ঠিত হয়ে পড়ে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
একপর্যায়ে সংশ্লিষ্ট পাইলট ক্যাপ্টেইন জাকারিয়া এ পরিস্থিতিতেই অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দুপুর ১টা ২০ মিনিটে উড়োজাহাজটি নিরাপদে অবতরণ করাতে সক্ষম হন। উড়োজাহাজটির গতি থেমে যেতেই  দ্রুত র‌্যাফটগুলো (ইমার্জেন্সি এক্সিট) খুলে দেয়া হয়। এর পরই আরোহীরা একে একে নেমে আসেন।
তিনি বলেন, পাইলটের দক্ষতার কারণে ত্রুটি সত্ত্বেও বিমানটি নিরাপদে ল্যান্ড করা সম্ভব হয়েছে। আল্লাহর অশেষ রহমত। নিশ্চিত মৃত্যু থেকে রক্ষা পেল উড়োজাহাজের আরোহীরা।
দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়া ওই উড়োজাহাজের আরোহী সোহাগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লিখেছেন, প্রায় আধাঘণ্টা ধরে কক্সবাজারের আকাশে উড়োজাহাজটি যখন চক্কর খাচ্ছিল, তখন যাত্রীরা এক পর্যায়ে অস্থির হয়ে ওঠেন। যাত্রীরা বিষয়টি জানতে চাইলে ককপিট থেকে জানানো হয়, রানওয়েতে সমস্যা থাকার কারণে ফ্লাইট অবতরণে দেরি হচ্ছে। এক পর্যায়ে ঘোষণা দেয়া হয়, কক্সবাজারের রানওয়েতে সমস্যা থাকায় ফ্লাইটটি চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে অবতরণ করানো হবে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপ-সহকারী পরিচালক মো. জসীম উদ্দীন বলেন, বেলা ১টা ১০ মিনিটের দিকে খবর আসে বিমানটি জরুরি অবতরণ করবে। খবর পেয়েই ফায়ার সার্ভিসের ইপিজেড, বন্দর ও আগ্রাবাদ ইউনিটের ৬টি গাড়ি শাহ আমানত বিমানবন্দরে গিয়ে কাজ করে। তারা বিমানের যাত্রীদের দ্রুত বের করতে সহযোগিতা করে।  
পতেঙ্গা থানার অফিসার ইনার্জ (ওসি) উৎপল কান্তি বড়ুয়া বলেন, একজন যাত্রী পায়ে সামান্য আঘাত পেয়েছেন। এছাড়া বাকিরা সুস্থ আছেন। তবে ওই উড়োজাহাজের এক যাত্রী জানান সামান্য আঘাত পেয়েছেন ৭ জন। তাদেরকে বিমানবন্দরেই প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে ১৯ মে নীলফামারীর সৈয়দপুর থেকে ৭৭ যাত্রী নিয়ে ঢাকা যাওয়ার জন্য উড্ডয়নের সময় বিকল হয়ে পড়ে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ। নেট সূত্র....

No comments:

Post a Comment

পোস্টের নীচে বিজ্ঞাপন

Pages

Contact Form

Name

Email *

Message *