আমার বাঁশখালী.কম ডেক্স রিপোর্টার মোঃ রোবেল.
জাপানে শক্তিশালী টাইফুন জেবির আঘাতে অন্তত ১১ জন নিহত এবং শতাধিক লোক
আহত হয়েছে। এ ছাড়া পাঁচ হাজারের মতো লোক বিমানবন্দরে আটকা পড়েছে। বিচ্ছিন্ন
হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল।
স্থানীয় গণমাধ্যম জাপান টুডের খবরে বলা হয়েছে,
মঙ্গলবার দুপুরের দিকে জাপানের পশ্চিম উপকূল দিয়ে বয়ে যায় জেবি। বিগত ২৫
বছরের মধ্যে এটি সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এর
প্রভাবে ঘণ্টায় ২১৬ কিলোমিটার বেগে বায়ু প্রবাহিত এবং প্রবল বৃষ্টিপাত হয়।
প্রবল বাতাসের কারণে বাড়ি-ঘরের ছাদ উড়ে যাওয়ার পাশাপাশি ব্রিজ থেকে
ট্রাক উল্টে পড়া এবং ওসাকা উপকূল থেকে একটি ট্যাঙ্কার ভেসে যাওয়ার ঘটনা
ঘটেছে।
এ ছাড়া কানসাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের, একটি কৃত্রিম দ্বীপ, সঙ্গে
সমতল ভূমির সংযোগ ব্রিজ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় প্রায় পাঁচ হাজার যাত্রী আটকা
পড়েছে। ইতোমধ্যে আট শতাধিক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
বুধবার সকালে বিমানবন্দর থেকে সমতলে নৌকা ও বাস চলাচল করতে দেখা গেলেও
ফ্লাইট কখন চালু হবে তা বলতে পারেনি কেউ। ওই বিমানবন্দর থেকে দিনে চার
শতাধিক ফ্লাইট উঠানামা করে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ছাড়া বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় বিস্তৃত অঞ্চলে অন্ধকার বিরাজ
করছে। আর যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষতি হওয়ায় সব ধরনের যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
এর আগে ফায়ার অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি সোয়া ১০ লাখের বেশি লোককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার সতর্কতা জারি করে।
স্থানীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, ২০টি জেলায় অন্তত ১৬ হাজার লোক আশ্রয়কেন্দ্রে রাত কাটিয়েছে।
জাপানের সরকারি রেডিও এনএইচকে-কে ১৯ বছর বয়সী এক কিশোর বলেছেন, তিনি এ রকম ঘটনা আর কখনও দেখেননি।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী শিনঝো আবে লোকজনকে নিরাপদ স্থানে থাকার আহ্বান
জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
দিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গ্রীষ্ম ও শরৎকালে জাপানে প্রায়ই বড় ধরনের ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনে থাকে। নেট মূত্র...
No comments:
Post a Comment