![]() |
চট্টগ্রামের বাঁশখালী পৌর এলাকার বেশীরভাগ গুরুত্বপূর্ণ অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোর বেহাল দশা। হালকা বৃষ্টিতেও সড়কগুলো পানীতে ডুবে যায়। বৃষ্টি শুরু হওয়ায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তি আরো বেড়েছে।
বাঁশখালী পৌর এলাকার প্রায় তিন শ পরিবার এখনো ব্যবহার করছে কাঁচা সড়ক। পৌরসভার বেশিরভাগ সড়ক এখনো ইটের তৈরী। এসব সড়কগুলো পৌরসভা গঠনের আগেই তৈরী করা হয়েছিল বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। পৌরসভার বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ৭০ হাজার।
৭০ হাজার পৌর নাগরিকের যোগাযোগ ব্যবস্থায় এখনও এগিয়ে আসে নেই স্থানীয় সাংসদ, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর মেয়ার সহ জনপ্রতিনিধিরা।
পৌরসভা সুত্রে জানা যায়, বাঁশখালী পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ২০০২ সালের ২২ ডিসেম্বর। বি শ্রেণী থেকে এ শ্রেণীতে উন্নীত হয়েছে ২০০৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর। বর্তমান মেয়র সেলিমুল হক চৌধুরী ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর মেয়র নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
পৌরসভার অলিগলি ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমান মেয়রের বাড়ি সংলগ্ন ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মিয়ার বাজার সড়ক ও মাজার সড়ক সম্পূর্ণ এবং ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের হারুন বাজার ভাদালিয়া সড়ক আধ কিলোমিটার ছাড়া (মোট ছয় কিলোমিটার) পৌরসভার বেশিরভাগ সড়কের করুণ অবস্থা।
![]() |
পিচ সড়কের মধ্যে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের উপজেলা সদরের কাঁচা বাজার এবং আদালত ভবন সংলগ্ন দুই কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের লোহাগড়া সড়কে পিচ উঠে গিয়ে ইটের খোয়া দেখা যাচ্ছে। অনেক জায়গায় পানি জমে রয়েছে। ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আসকরিয়া পাড়া সড়ক এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ডাকবাংলো সড়কের পিচ উঠে গিয়ে পুরো সড়কই ভরে আছে বড় বড় গর্ত আর বৃষ্টির পানিতে। সড়ক দুটিরই দৈর্ঘ্য দুই কিলোমিটার।
![]() |
একই অবস্থা চট্টগ্রাম-বাঁশখালী প্রধান সড়কের সাথে সংযুক্ত মিয়ার বাজার নেয়াজর পাড়া অংশের আধা কিলোমিটার। এটি ৩ নম্বর ওয়ার্ডে পড়েছে। ৪ নম্বর ওয়ার্ডে এক কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বণিক পাড়া সড়কেও পিচ উঠে গিয়ে ইটের খোয়া দেখা যাচ্ছে। এসব সড়ক সংস্কার হয়েছে পাঁচ বছরেরও আগে।
![]() |
এছাড়া ইটের সড়কের মধ্যে ২ নম্বর ওয়ার্ডের জলদি বড়ুয়া পাড়া সড়ক, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের দারোগা বাজার গুরা পুকুর পাড় সড়ক, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চূড়ামণি কেবল কৃষ্ণ মহাজন পাড়া সড়ক, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের তেলিপাড়া সড়ক গুলো দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় ইট ক্ষয়ে গিয়ে এবং সরে গিয়ে গর্তে ভরে গেছে। ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মহাজন পাড়ার সড়কের একটি অংশে ৩ শ মিটার সিমেন্টের ঢালাই করা হয়েছে সাড়ে তিন বছরেরও বেশি সময় হয়েছে। এটি ছাড়া বাকি সড়কগুলোতে ইট ক্ষয়ে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
![]() |
৪ নম্বর ওয়ার্ডের চাইট্টা মুড়া এলাকার প্রায় এক শ পরিবার এবং ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দাঙ্গার মাঠ ও আদর্শ গ্রামের প্রায় দুই শ পরিবারের লোকজনদের সদরে আসতে প্রায় আধা কিলোমিটার কাঁচা সড়ক পার হয়ে আসতে হয়।
![]() |
এছাড়া ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চূড়ামণি কেবল কৃষ্ণ মহাজন পাড়া সড়কে দুটি ঝুঁকিপূর্ণ কালভার্ট দেখা গেছে। এই ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি ব্যবহার করছে এর
এলাকার লোকজন।
![]() |
৯ নম্বর ওয়ার্ডের কয়েকজন বলেন, পৌরসভার ইটের রোডগুলো তৈরী করা হয়েছে পৌরসভা গঠনের আগে। আমাদের ইটের সড়কটি সংস্কারের জন্য পৌরসভায় অনেকবার বলেছি। কিন্তু সাড়া মেলেনি। আমাদের বাড়িটি মাটির তৈরী হওয়ায় বছরে সাড়ে নয় শ টাকা বাৎসরিক পৌর কর দিই। পাকা দালানের জন্য এই কর বছরে ১২ শ টাকা।
![]() |
পৌরসভার কাঁচা সড়কের বিষয়ে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দাঙ্গার মাঠ এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, কাঁচা সড়কে চলাফেরা করেও প্রতিবছর পৌর কর দিতে হয়। বাড়িতে কেউ বেড়াতে আসলে তারা বলে পৌরসভার সড়ক এরকম কেন?
![]() |
৪ নম্বর ওয়ার্ডের চাইট্টা মুড়া এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, আধা কিলোমিটার সড়ক এখনো কাঁচা। বর্ষায় কর্দমাক্ত রাস্তায় চলাফেরা করতে কষ্ট হয়।
![]() |
৭ নম্বর ওয়ার্ডের আসকরিয়া পাড়া সড়ক এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, এই সড়কের মত বড় বড় গর্ত আর কোন সড়কে আছে বলে মনে হয়না। বৃষ্টিতে গর্তগুলো পানিতে ভরে থাকে।
![]() |
No comments:
Post a Comment